ইসলামের পাঁচ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি হজ্জ। যদি কারো মালিকানায় নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের চেয়ে অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা মাল-সম্পত্তি আছে- যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসা এবং হজ্জ আদায়কালীন প্রয়োজনীয় ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসরিক খরচ হয়ে যায়, পবিত্র কুরআন ও হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী তার ওপর হজ্জ পালন করা ফরয।
হজ্জ প্রত্যেক মুসলমানের উপর জীবনে একবারই ফরয হয়। একবার ফরয হজ্জ আদায়ের পর পরবর্তীতে হজ্জ করলে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। হজ্জের বিধানকে অবজ্ঞাকারী কিংবা অস্বীকারকারী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়।
ইবাদত কয়েক পদ্ধতিতে আদায় করতে হয়। এর মধ্যে একটি হলো আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। আর হজ্জ হলো সেই আর্থিক ও শারীরিক ইবাদতের সমন্বয়। শারীরিক ইবাদত তথা সালাত আদায় করতে করতে আর্থিক ইবাদত তথা যাকাত আদায় করে সর্বশেষে শারীরিক ও আর্থিক সমন্বয় ঘটিয়ে প্রিয় মহামহিয়ান রব আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন ও তাঁর স্মৃতিবিজড়িত স্থান সমূহে এসে তাঁরই সমীপে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জন্যই হজ্জ আদায় করা হয়।
কুরআন ও হাদীসে হজ্জের বর্ণনা
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
وَأَتِمُّوا الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلَّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلَا تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّىٰ يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَٰلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ-
অর্থঃ তোমরা আল্লাহ তা’আলার জন্য হজ্জ-উমরা পরিপূর্ণভাবে আদায় করো। হজ্জ করতে গিয়ে তোমরা বাধাপ্রাপ্ত হলে কুরবানী করার জন্য যা কিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের জন্য ধার্য করা হলো। কুরবানীর পশু তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছার আগ পর্যন্ত তোমরা কেউ মাথা মুন্ডন করবে না।
যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা কারো মাথায় যদি সমস্যা হয়, তা হলে এর পরিবর্তে সিয়াম রাখবে অথবা সদকা করবে অথবা কুরবানী করবে।
পথ নিরাপদ হয়ে যাওয়ার পর তোমাদের যারা হজ্জে তামাত্তু করতে চাও, তারা যা কিছু সহজলভ্য, তাই দিয়েই কুরবানী করো। কুরবানী করা সম্ভব না হলে হজ্জের দিনগুলোতে তিনটি এবং হজ্জ থেকে ফিরে আসার পরে সাতটি তথা সর্বমোট দশটি সিয়াম রাখবে।
এ নির্দেশ তাদের জন্য, যাদের পরিবার-পরিজন মসজিদুল হারামের আশেপাশে বসবাস করে না। আর তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করতে থাকো। নিশ্চিতরূপে জেনে রাখো, আল্লাহ তা’আলার আযাব বড় কঠিন।
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَىٰ وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ –
অর্থঃ নির্দিষ্ট কয়েকটি মাসকে হজ্জের মাস বলা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসগুলোতে হজ্জ আদায় করার নিয়ত করবে, তার জন্য স্ত্রীর সাথে মিলামিশা করা, অশোভনীয় কোনো কাজ-কর্ম করা এবং ঝগড়া-বিবাদ করা জায়েয নয়। আর তোমরা সৎ কর্ম যা কিছুই করো, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই জানেন।
আর হজ্জে গমন করার সময় পাথেয় সাথে করে নিয়ে যাও। নিশ্চয় সর্বোত্তম পাথেয় হলো তাকওয়া। সর্বোপরি তোমরা আমরা আমাকে ভয় করতে থাকো হে বুদ্ধিমান লোকেরা!
لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَن تَبْتَغُوا فَضْلًا مِّن رَّبِّكُمْ فَإِذَا أَفَضْتُم مِّنْ عَرَفَاتٍ فَاذْكُرُوا اللَّهَ عِندَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ وَاذْكُرُوهُ كَمَا هَدَاكُمْ وَإِن كُنتُم مِّن قَبْلِهِ لَمِنَ الضَّالِّينَ –
অর্থঃ তোমাদের ওপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অনুসন্ধান করায় কোনো পাপ নেই। আর আরাফাত থেকে তাওয়াফের জন্য ফিরে আসার পরে মাশ’আরে হারামের কাছে তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করো। যেভাবে তোমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেভাবে স্মরণ করো। অবশ্যই এর আগে তোমরা পথভ্রষ্ট ছিলে।
ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ –
অর্থঃ এরপর তোমরা তাওয়াফের জন্য সেখান থেকে দ্রুত গতিতে ফিরে আসো, যেখান থেকে সবাই ফিরে। আর সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা’আলার কাছে মাগফিরাত কামনা করতে থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল করূণাময়।
فَإِذَا قَضَيْتُم مَّنَاسِكَكُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَذِكْرِكُمْ آبَاءَكُمْ أَوْ أَشَدَّ ذِكْرًا فَمِنَ النَّاسِ مَن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا وَمَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ –
অর্থঃ অতঃপর যখন তোমরা হজ্জের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করবে, তখন তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ওইভাবে স্মরণ করো, যেভাবে তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদেরকে স্মরণ করতে। বরঞ্চ এর চেয়েও বেশি আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করো। এ কথা বলার পর অনেকে বলে- হে পরওয়ারদিগার! াাপনি আমাদেরকে পৃথিবীতে দান করুন; অথচ আখিরাতের জন্য কোনো কিছুই নেই।
وَمِنْهُم مَّن يَقُولُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ –
অর্থঃ তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে- হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদেরকে পৃথিবীতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ নসীব করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে হিফাযত করুন।
أُولَٰئِكَ لَهُمْ نَصِيبٌ مِّمَّا كَسَبُوا وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ –
অর্থঃ এদের জন্যই রয়েছে নিজেদের উপার্জিত সম্পদের। আর আল্লাহ তা’আলা দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ فَمَن تَعَجَّلَ فِي يَوْمَيْنِ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ وَمَن تَأَخَّرَ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ لِمَنِ اتَّقَىٰ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ-
অর্থঃ আর তোমরা স্মরণ করো আল্লাহ তা’আলাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েকটি দিনে। অতঃপর যে লোক তাড়াহুড়া করেদুই দিনের মধ্যে চলে যাবে, তার কোনো পাপ হবে না। আর যারা থেকে যাবে, তাদের ক্ষেরত্রও কোনো সমস্যা নেই; অবশ্য যারা ভয় করে। তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করতে থাকো এবং নিশ্চিত জেনে রাখো, একদিন তোমরা সবাই তাঁর সামনে সমবেত হবে। (সূরা বাকারাহ-১৯৬-২০৩)
হাদীসে নববীতে হজ্জের বর্ণনা
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
الحج المبرور ليس له الجزاء إلا الجنة-
অর্থঃ মাকবুল হজ্জের বিনিময় জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।
من حج ولم يرفث ولم يفسق- رجع كيومِ ولدت أمه-
অর্থঃ যে ব্যক্তি অশ্লীল কোনো কর্মকান্ড এবং ঝগড়া-বিবাদ অথবা পাপাচারিতা থেকে বিরত থেকে হজ্জ আদায় করলো, সে হজ্জ থেকে এমনভাবে প্রত্যাবর্তন করে, যেনো তাঁর মা তাঁকে এই মাত্র প্রসব করলো। (সহীহুল বুখারী; সহীহ মুসলিম)
হজ্জ আদায় করার সময়
হিজরী বর্ষের শেষ ৩ মাস তথা শাওয়াল, জিলকদ এবং জিলহজ্জকে হজ্জের মাস বলা হয়। তবে ৮ যিলহজ থেকে ১২ যিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন হজের মূল সময়। ১৩ যিলহজেও কিছু মুস্তাহাব আমল রয়েছে। হজ্জের সময় সম্পর্কে কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-
الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَّعْلُومَاتٌ فَمَن فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ وَمَا تَفْعَلُوا مِنْ خَيْرٍ يَعْلَمْهُ اللَّهُ وَتَزَوَّدُوا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَىٰ وَاتَّقُونِ يَا أُولِي الْأَلْبَابِ –
অর্থঃ নির্দিষ্ট কয়েকটি মাসকে হজ্জের মাস বলা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসগুলোতে হজ্জ আদায় করার নিয়ত করবে, তার জন্য স্ত্রীর সাথে মিলামিশা করা, অশোভনীয় কোনো কাজ-কর্ম করা এবং ঝগড়া-বিবাদ করা জায়েয নয়। আর তোমরা সৎ কর্ম যা কিছুই করো, তা আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই জানেন।
আর হজ্জে গমন করার সময় পাথেয় সাথে করে নিয়ে যাও। নিশ্চয় সর্বোত্তম পাথেয় হলো তাকওয়া। সর্বোপরি তোমরা আমরা আমাকে ভয় করতে থাকো হে বুদ্ধিমান লোকেরা! (সূরা বাকারা-৯৭)
হজ্জের তাৎপর্য ও হিকমত
শরীয়তের প্রতিটি বিধানের একটা রহস্য ও তাৎপর্য থাকে। এ তাৎপর্যের গুরুত্ব আছে বলেই বান্দার ওপর এ বিধান আরোপ করা হয়ে থাকে। কোনো কোনো ইবাদতে দৈহিক, কোনো ইবাদতে আত্মিক গুরুত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো ইবাদতে ব্যক্তিগত ও সামাজিক, আবার কোনো কোনো ইবাদতে অর্থনৈতিক গুরুত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনোটিতে দৈহিক ব্যক্তিগত এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের সমাবেশ ঘটিয়ে মানব জীবনের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ তথা দৈহিক ও আত্মিক সাধনার সমন্বয় করা হয়েছে। হজ্জ হলো দৈহিক ও অর্থনৈতিক উভয়টির সমন্বয়ে গঠিত এক মহা ইবাদত।
হজ্জ আদায় করার সময় মানুষের শরীর ও মনের কুরবানীর সাথে সাথে আর্থিক কুরবানীও দিতে হয়। আল্লাহ তা’আলার অপার অনুগ্রহে প্রাপ্ত অর্থ সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলার প্রতি আনুগত্য এবং অর্থ-সম্পদের মোহ থেকে নিজেকে পবিত্র করার লক্ষ্যে হজ্জের গুরুত্ব অপরিসীম।
ইবাদতে দৈহিক সাধনা তথা সালাত আদায় করতে করতে এক ধাপ উন্নীত হয়ে সিয়াম আদায় করে আত্মিক সাধনায় বান্দা আল্লাহ তা’আলার বিশেষ নৈকট্যে উন্নতি লাভ করে। দৈহিক ও আত্মিক সাধনায় সফল হওয়ার পরে পরবের্তী পর্যায়ে সে আরেক সাধনার সম্মুখীন হয়, যা তাকে সফলতা ও সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। তা হলো অর্থনৈতিক সাধনা। যাকাত আদায় করার মাধ্যমে বান্দা এ সাধনা করে। সর্বশেষে বিশেষ নৈকট্যে উন্নীত হওয়ার পরে দয়াময় রব আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন সমূহ প্রত্যক্ষ করে সাধনা ও নৈকট্যের সর্বোচ্চ স্তরে সে উপনীত হয়। এর জন্য তাকে দৈহিক ও অর্থনৈতিক সাধনার সমন্বয় ঘটাতে হয়। আর তা সংঘটিত হয় হজ্জ আদায় করার মাধ্যমে। হজ্জ আদায় করার মাধ্যমে সর্বশেষ ও সর্বোচ্চ সাধনা করে বান্দা আল্লাহ তা’আলার নিদর্শন লাভ করে। এ পর্যায়ে নিদর্শন সমূহ প্রত্যক্ষ করার ফলে পার্থিব জগতে প্রেমাস্পদ ও প্রেমিকের সাক্ষাত ঘটে। এটাই হলো হজ্জের হাকীকত ও তাৎপর্য।
হজ্জের প্রকার সমূহ
হজ সর্বমোট তিন প্রকার- ইফরাদ, তামাত্তু ও কিরান।
হজে ইফরাদঃ মীকাত থেকে শুধু হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে হজ্জ সম্পাদন করাকে হজ্জে ইফরাদ বলে।
হজে তামাত্তুঃ হজ্জের মাসসমূহে (শাওয়াল, যিলকদ, যিলহজ) মীকাত থেকে উমরাহ’র নিয়তে ইহরাম করে, উমরাহ পালন করে চুল কেটে বা চেঁছে ইহরামমুক্ত হয়ে যাওয়া। অতঃপর এই সফরেই হজ্জের ইহরাম বেঁধে হজ্জ পালন করা এবং কুরবানী করা। এই পদ্ধতিতে উমরাহ এবং হজ্জ আদায় করাকে হজ্জে তামাত্তু বলে।
হজে কিরানঃ হজ্জের মাসসমূহে একই সঙ্গে উমরাহ ও হজ্জ পালনের নিয়তে ইহরাম করে উমরাহ সম্পন্ন করার পর হালাল না ওই ইহরামেই হজ্জ করা এবং কুরবানী করা।
উমরাঃ পরিচয় ও বিধান
মিকাত থেকে উমরাহর নিয়তে ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা, অতঃপর মাথার চুল চেঁছে ফেলা বা ছোটো করাকে উমরাহ বলে। যিলহজ্জ মাসে হজ্জের দিনগুলো (৮ই যিলহজ্জ থেকে ১২ই যিলহজ্জ সর্বমোট ৫ দিন) ব্যতীত বছরের অন্যান্য সব দিনের যে কোনো সময়ে উমরাহ আদায় করা যায়।