১. শরীয়তের কোনো বিধান সম্পর্কে অনুসন্ধানের প্রয়োজন দেখা দিলে সর্বপ্রথম দেখতে হয় কুরআনুল কারীমে। কুরআনের সরাসরি বর্ণনায় উক্ত বিধানটি পাওয়া গেলে তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত দিতে হয়। এ পদ্ধতিকে সরাসরি সূত্র (صراحة النص ) বলা হয়।
২. কুরআনের সরাসরি বর্ণনায় উক্ত বিধানটি সরাসরি যদি পাওয়া না যায়; বরং বর্ণনাভঙ্গি কিংবা ইঙ্গিতের মাধ্যমে তা বোধগম্য হয়, তা হলে সে আলোকেই সিদ্ধান্ত দিতে হয়। এ পদ্ধতিকে ইঙ্গিতবহ সূত্র (إشارة النص ) বলা হয়।
৩. বর্ণনাভঙ্গি কিংবা কোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইঙ্গিতের মাধ্যমেও উক্ত বিধান সাব্যস্ত না হয়ে কুরআনের স্বাভাবিক বর্ণনার আলোকে যদি তা বোধগম্য হয়, তা হলে সে আলোকেই সিদ্ধান্ত দিতে হয়। এ পদ্ধতিকে সাংকেতিক সূত্র (دلالة النص) বলা হয়।
৪. অপরদিকে কোনো বিষয়কে সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে কুরআনে যদি এমন কোনো বিষয় বর্ণিত হয়- যার অর্থ বোধগম্য হওয়ার ক্ষেত্রে অন্য কোনো কিছুকে উহ্য মানতে হয়, অতঃপর তারই আলোকে উক্ত বিষয়টি বোধগম্য হয়, তা হলে সে আলোকেই সিদ্ধান্ত দিতে হয়। এ পদ্ধতিকে চাহিদা সম্বলিত সূত্র (اقتضاء النص) বলা হয়।
৫. কুরআন থেকে উপরোক্ত চার পদ্ধতির কোনোটিরই ভিত্তিতে কাঙ্খিত বিধান সাব্যস্ত না হলে এক্ষেত্রে হাদীস ও সুন্নাহ থেকে এ চার প্রক্রিয়ার কোনো এক প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
৬. হাদীস ও সুন্নাহর মধ্যেও উপরোক্ত উপরোক্ত চার পদ্ধতির কোনোটিরই ভিত্তিতে কাঙ্খিত বিধান সাব্যস্ত না হলে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, নবীজির মহান সাহাবায়ে কেরামের এ ব্যাপারে কোনো ইজমা তথা সর্বসম্মত মতামত রয়েছে কিনা। থাকলে সে আলোকেই সিদ্ধান্ত দিতে হবে।
৭. উক্ত ইজমাও পাওয়া না গেলে কুরআন-সুন্নাহর সামগ্রিক প্রমাণাদি সামনে রেখে কিয়াস ও ইজতিহাদের আলোকে ফয়সালা করতে হবে।